বাজারের এক হোটেলে এক দোকানমালিক প্রতিটি পরোটা বিক্রি করতেন পাঁচ টাকা দরে। হঠাৎ আটার দাম বেড়ে যাওয়ায় দোকানদার বিপদে পড়লেন। পাঁচ টাকায় পরোটা বেচে তাঁর পোষায় না। আবার পরোটার দামও বাড়াতে পারছিলেন না। কারণ, ওই দেশে রাজার অনুমতি ছাড়া কোনো জিনিসের দাম বাড়ানো ছিল দণ্ডনীয় অপরাধ।
নাসিরুদ্দিন হোজ্জা একদিন কাজির আসনে বসে একটি বিচার করছিলেন। প্রথমে ফরিয়াদি তাঁর বক্তব্য দিতে শুরু করেন। আসামির সম্পর্কে তাঁর অভিযোগের বিস্তারিত বিবরণ দিচ্ছেন। হোজ্জা মনোযোগ দিয়ে তাঁর কথা শুনছেন। বলা শেষ হলে হোজ্জা মাথা ঝাঁকিয়ে বললেন, ‘তোমার কথাই ঠিক।’
এক বিত্তবান ব্যক্তি দাঁত ব্যথায় কাতর হয়ে বিদেশে গিয়ে দন্ত চিকিৎসার মনস্থির করলেন। বন্ধুর পরামর্শে তিনি গেলেন চীনে। চীনা ডেন্টিস্ট দেখেশুনে বললেন, ঠিক আছে। আপনার বেশ কয়েকটি দাঁত তুলে ফেলতে হবে। প্রতি দাঁত তোলার খরচ ১০ হাজার টাকা।
রেল যোগাযোগে পিছিয়ে থাকা এক দেশে নির্বাচন শেষে বিজয়ী দলের মন্ত্রিসভার শপথ গ্রহণের পর নতুন রেলমন্ত্রীর কাছে সাংবাদিকেরা জানতে চাইলেন, ‘নতুন রেলমন্ত্রী হিসেবে আপনি কোন বিষয়টিকে বেশি গুরুত্ব দিতে চান? যাত্রীদের আরামদায়ক রেলভ্রমণ উপহার দেওয়া, নাকি রেলের সময়সূচি ঠিক করা, যাতে মানুষ আর তামাশা করে বলতে না
যাঁরা প্রতিদিন বাসে আসা-যাওয়া করেন, তাঁদের প্রায় সবারই নানা রকম অভিজ্ঞতা হয়; বিশেষ করে সহযাত্রীদের কত প্যাচাল যে সহ্য করতে হয়! এ রকম এক বাসযাত্রীর একদিন পাশে বসা এক তরুণীর কথা কানে এল।
সোভিয়েত ইউনিয়নে সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের পর লেনিন ক্ষমতায় বসেছিলেন। তাঁর মৃত্যুর পর স্ট্যালিনের ওপর শাসনক্ষমতা অর্পিত হয়। সেখানে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ছিল না। কমিউনিস্ট পার্টির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সবকিছু চলত। স্ট্যালিন আমলে তিনি হন
একজন অজনপ্রিয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট দ্বিতীয় দফা নির্বাচনী প্রচারের জন্য গাড়িতে করে যাচ্ছিলেন। রাস্তার পাশে একটি শূকরের খামার ছিল। একটু তাড়া থাকায় ড্রাইভার গাড়ি চালাচ্ছিল কিছুটা বেপরোয়া গতিতে। হঠাৎ খামার থেকে একটি শূকর ছুটে এসে গাড়ির সামনে পড়ল এবং পিষ্ট হলো।
অনেক বছর আগের কথা। একজন রাজনৈতিক নেতা জনগণকে উদ্দীপিত করার জন্য জনসভায় বক্তৃতা করতে গিয়ে বললেন, ‘রাশিয়া জাগছে, চীন জাগছে, ব্রিটেন, জাপানও জাগছে আর আমেরিকা তো জাইগগাই আছে। কিন্তু আপনেরা কবে জাগবেন? সক্কলের...বাঁশ দিলে?’
একজন সংসদ সদস্য কয়েকজন সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে একটি দামি রেস্টুরেন্টে খেতে ঢুকেছেন। খাওয়া শেষে রেস্টুরেন্টের শেফ এগিয়ে এসে জিজ্ঞেস করল, ‘আমাদের আলু-মাংসের ডিশটা কেমন লেগেছে জনাব?’
তখন দেশে এরশাদের শাসনকাল চলছে। এরশাদবিরোধী আন্দোলনের একজন অন্যতম নেতা হঠাৎ সবাইকে অবাক করে দিয়ে একদিন পল্টি খেয়ে এরশাদের দলে ভিড়ে মন্ত্রীও হয়ে গেলেন। চারদিকে সবাই ছি ছি করতে লাগল।
তখন দেশে এরশাদের শাসনকাল চলছে। এরশাদবিরোধী আন্দোলনের একজন অন্যতম নেতা হঠাৎ সবাইকে অবাক করে দিয়ে একদিন পল্টি খেয়ে এরশাদের দলে ভিড়ে মন্ত্রীও হয়ে গেলেন। চারদিকে সবাই ছি ছি করতে লাগল।
পাকিস্তানের সাবেক সামরিক শাসক জেনারেল জিয়াউল হক সার্ক সম্মেলনে যোগ দেওয়ার জন্য ভারত যাবেন। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে তাঁর ব্যক্তিগত নাপিত অসুস্থ। তিনি আবার ক্লিন শেভড না হলে কোনো আলোচনায় মন বসাতে পারেন না।
তখন বিএনপির শাসনকাল চলছিল। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বেড়ে যাওয়ায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সেনাবাহিনী নামানো হয়েছে। সেনাবাহিনী কী করে, তা দেখার জন্য কৌতূহলী এক ব্যক্তি রাস্তার এদিক-ওদিক পায়চারি করছিলেন। তাঁর গতিবিধি সন্দেহজনক হওয়ায় তাঁকে কাছে ডেকে এক সেনাসদস্য জিজ্ঞেস করলেন
‘প্রথমে ভেবেছিলাম যে মন্দির বানাব। শিবমন্দির। তারপর ভেবে দেখলাম, সেটা ঠিক হবে না। সেখানে কেবল হিন্দুরাই আসবে। মুসলমান, ক্রিশ্চিয়ান এরা কেউ ছায়া মাড়াবে না। মসজিদ গড়লেও সেই কথা। মুসলমান ছাড়া আর কেউ ঘেঁষবে না তার দরজায়। গির্জা হলেও তাই।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর ‘কারাগারের রোজনামচা’ বইয়ে নানা বিষয়ে লিখেছেন। কারাগারে কত ধরনের মানুষ, কত বিচিত্র রকমের অপরাধে জড়িয়ে চার দেয়ালের ভেতর অবরুদ্ধ জীবন কাটান। একজন তথাকথিত ধার্মিকের কথা তিনি উল্লেখ করে ৪৩ পৃষ্ঠায় লিখেছেন:
তখন বাংলাদেশে এরশাদের সামরিক শাসনকাল চলছে। সংসদ নির্বাচনে ঢাকার একটি আসন থেকে প্রার্থী হলেন একজন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন আইনজীবী, যিনি নামের আগে ডক্টর লিখে থাকেন। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী খুব বেশি লেখাপড়া জানেন না। এক নির্বাচনী বক্তৃতায় এই দ্বিতীয় প্রার্থী প্রতিপক্ষের প্রার্থী সম্পর্কে বললেন,
যৌতুকবিরোধী এক সমাবেশে বক্তৃতা দিতে উঠে জনৈক নেতা বললেন, আগামী মাস থেকে আমরা যৌতুকবিরোধী আন্দোলনে নামব। এটা শুনে একজন কর্মী প্রশ্ন করলেন, এ মাসে নয় কেন, ভাই?